নবী ইয়াকুব (আ.) এবং তাঁর ১২ পুত্র

1 min read

নবী ইয়াকুব (আ.) এবং তাঁর ১২ পুত্র

একটি দিন ছিল যখন ইয়াকুব (আ.) নামক এক মহান নবী, যাঁকে ইসরাঈল বলা হয়, এক শহরে বাস করতেন। তিনি ছিলেন ধার্মিক এবং সৎ। ইয়াকুব (আ.) ছিলেন আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাঁর ১২টি ছেলে ছিল, এবং তারা সবাই আল্লাহর পথে চলত।


🔹 যোসেফ (আ.) এবং তাঁর ভাইয়েরা

ইয়াকুব (আ.)-এর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ছিল যোসেফ (আ.)। কিন্তু যোসেফ (আ.)-এর ভাইরা তার প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল। তারা ভাবত, "যোসেফ (আ.) আমাদের বাবার প্রিয়, তাই তাকে কিছু না কিছু করতে হবে।"

একদিন, ভাইরা যোসেফ (আ.)-কে একটি গভীর খনিতে ফেলে দেয়, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী, যোসেফ (আ.) বড় হয়ে মিশরের রাজপ্রাসাদে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করতে শুরু করেন।


🔹 ক্ষমা এবং ভ্রাতৃত্ব

যোসেফ (আ.) যখন বড় হলেন এবং তার ভাইদের সামনে এলেন, তখন তিনি তাদের ক্ষমা করে দিলেন। তিনি বললেন, "আপনারা আমাকে যে কষ্টই দিয়েছেন, আমি আল্লাহর রহমত নিয়ে আপনাদের সব কিছু ক্ষমা করি।"
এটি ছিল ভ্রাতৃত্ব এবং ক্ষমার এক সুন্দর উদাহরণ।


🔹 বনি ইসরাঈল জাতি

ইয়াকুব (আ.)-এর ১২ পুত্র ছিল, এবং তাদের মধ্যে থেকেই বনি ইসরাঈল জাতির জন্ম হয়েছিল। এই জাতির মধ্যে অনেক মহান নবী এসেছিলেন, যারা আল্লাহর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছেছিলেন।


🔹 শিক্ষা

ইয়াকুব (আ.)-এর গল্প আমাদের শেখায়:

  1. বিশ্বাস এবং ধৈর্য: যোসেফ (আ.)-এর জীবন শিখায়, কঠিন সময়েও আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
  2. ক্ষমা ও ভ্রাতৃত্ব: ভাইয়েরা যোসেফ (আ.)-কে যেভাবে কষ্ট দিয়েছিল, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এবং এটি আমাদের শেখায়, অন্যদের প্রতি সহানুভূতি এবং ক্ষমা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
  3. আল্লাহর প্রতি আনুগত্য: আল্লাহর প্রতি আনুগত্য রাখলে জীবনে ভালো কিছু আসে।

📚 উপসংহার

নবী ইয়াকুব (আ.) আমাদের শেখিয়েছেন, জীবনে বিশ্বাস, ধৈর্য, ক্ষমা, এবং ভ্রাতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ১২ পুত্রের মধ্যে যোসেফ (আ.)-এর গল্প আমাদের শিখায় যে, আল্লাহর পথে চলা আমাদের জীবনে সাফল্য এবং শান্তি আনে


আপনাদের এই গল্প কেমন লাগলো? কমেন্টে জানান!


Avatar
Comments (0)

Related Posts